ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

গ্রিন রোডে ডিএনসিসির উচ্ছেদ-ভেজাল বিরোধী অভিযান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
গ্রিন রোডে ডিএনসিসির উচ্ছেদ-ভেজাল বিরোধী অভিযান

ঢাকা: রাজধানীর ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হল থেকে পান্থপথমুখী গ্রিন রোড সংলগ্ন সড়কে উচ্ছেদ ও ভেজাল বিরোধী অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ আহসানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট আরও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

উচ্ছেদ অভিযানে সড়কের দুই পাশে থাকা প্রায় ১৫০টি দোকান ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, এ অভিযানে ফুটপাত দখলমুক্ত হয়েছে। এখন একটু ভালোভাবে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যাবে। আগে এখান দিয়ে হাঁটাই যেত না। তবে কতদিন ফুটপাত এমন দখলমুক্ত থাকবে, সেটাই দেখার বিষয়।

অন্যদিকে ভেজাল বিরোধী অভিযানে গ্রিন রোডস্থ কাসুন্দী রেস্তোরাঁকে এক লাখ ও কস্তুরী রেস্তোরাঁকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

কাসুন্দী রেস্তোরাঁর ম্যানেজার রাজিব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সব সময় ভেজালমুক্ত থাকার চেষ্টা করি। আমাদের রেস্তোরাঁয় অনেক কর্মী কাজ করে। আমরা যাদেরকে নিয়ে কাজ করি তারা তেমন দক্ষ না। রেস্তোরাঁর সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, যার মাধ্যমে মালিক সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।  

রেস্তোরাঁয় পচা ও বাসি খাবার রাখার ব্যাপারে তিনি বলেন, পচা-বাসি খাবার আমাদের রেস্তোরাঁয় রাখা হয় না। খাওয়ার অযোগ্য খাবারও ফ্রিজে রাখা হয় না। ২-৩ দিনের বাসি খাবার ফ্রিজে রাখলে তো ফ্রিজেই গন্ধ হয়ে যাবে। এরপরও ম্যাজিস্ট্রেটের কাজে আমি বাধা দেইনি। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার এখতিয়ার তো আমার নেই।

ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ আহসান বাংলানিউজকে বলেন, আনন্দ সিনেমা হল থেকে পান্থপথমুখী গ্রিন রোড সংলগ্ন সড়কের দু’পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড়শ দোকান ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া সেখানকার দুইটি রেস্তোরাঁর ফ্রিজে রাখা ফ্রোজেন খাবারগুলোর মধ্যে উৎপাদনের তারিখ পাইনি। একই সঙ্গে বেশ কিছু পচা ভাত, পোলাও ও ডিম পেয়েছি। এ কারণেই তাদের আইনের আওতায় এনেছি।

তিনি আরও বলেন, ছয় মাস আগেও এখানে অভিযান পরিচালনা করেছি। আগের চেয়ে বর্তমানে অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। মানুষ এখন অনেক সচেতন। ক্রমাগত এই কার্যক্রম চালিয়ে গেলে ভোক্তারা আরও সচেতন হবে। ফলে অবশ্যই দৃশ্যপট পরিবর্তন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এমএমআই/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।