ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‌‌লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
‌‌লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: শেয়ার বাজার লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। একইসঙ্গে তিনি দুনীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলেন। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারের প্রতি এসব অভিযোগ করেন তিনি।

হারুনুর রশিদ বলেন, আমার বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন কথা বলা হয়েছে।

আমি কোনো মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম না। আমি কুরআন, হাদিস বিশেষজ্ঞ নই, হাফেজও নই। কোরআন হাদিস বোঝার জন্য মুফতি ও মোফাচ্ছির হতে হয় না। আমরা এ সংসদে কয়েকজন আছি, আমাদের কথা বলার সুযোগ করে দেবেন। বার বার বলা হচ্ছে, কৌশলে বিএনপি হেরে গেছে। গত নির্বাচনের পর পত্রিকায় এসেছে, পুলিশ হেডকোয়াটার থেকে এসপিদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিলো।

‘এতে সুষ্ঠুভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা সক্ষম হওয়ায় এসপিদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। অনেকেই বলে ভোটের আগের রাতে ব্যালট ভর্তি সকালে গণনা করা হয়। ওই চিঠির মধ্য দিয়ে সেটাই প্রমাণ হয়। নির্বাচনের সময় আমাদের ২২ জন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। ’

তিনি বলেন, আমি এখানে কথা বলছি, আমি জানি না এখান থেকে বাড়ি ফিরে যেতে পারবো কি-না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নামে আমাকে তুলে নেওয়া হবে কি-না। এভাবে বিএনপির কতো নেতা-কর্মী অপহৃত হয়েছেন।  

এসময় স্পিকার এই সংসদ সদস্যের উদ্দেশে বলেন, আপনি বাজেট নিয়ে কথা বলুন, বাজেটের উপর বলবেন। তখন হারুনুর রশিদ বলেন, আমি বাজেট নিয়েই বলতাম। কিন্তু বক্তব্যের ধারা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

বক্তব্যের শুরু থেকে হারুনুর রশিদ বার বার ধর্মকে সামনে নিয়ে আসেন এবং কোরআন হাদিসের উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বিএনপির কতো নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এটা তদন্তের জন্য সংসদে একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। ১০ বছরে বিএনপির নেতা-কর্মীর নামে ৯০ হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। এর অধিকাংশই ভুয়া। ওইসব মামলায় বিএনপির ২৫ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। সংসদে বলা হয়, জিয়াউর রহমান মদের লাইসেন্স দিয়েছেন। আপনারা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে ওই আইন বাতিল করেননি কেন।

তিনি বলেন, এ বাজেট কি দিকনির্দেশনা দেবে। শেয়ার বাজারে যারা লুটপাট করেছে, আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবো? দুনীতিবাজদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিতে পারবো? এ সক্ষমতা আগে অর্জন করতে হবে। যাদের নিয়ে মহাজোট করা হয়েছে, সেই শরিকরা আজ বিরোধী দলে। বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রী ঠিক করে দেন। কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।  

হারুনুর রশিদ বলেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন মামলার তালিকা দিলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। প্রধানমন্ত্রী যে ওয়াদা দিয়েছিলেন তা কি পূরণ হয়েছে? রূপপুরের দুনীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বললেন, এ দুনীতির সঙ্গে যিনি যুক্ত তিনি ছাত্র দল করতেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, ওই মাসুদ বুয়েটের ছাত্রও ছিলেন না, ভিপিও ছিলেন না।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৬ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এসকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।