ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জমির রেকর্ড মামলা নিষ্পত্তিতে কমিটি হবে: ভূমিমন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
জমির রেকর্ড মামলা নিষ্পত্তিতে কমিটি হবে: ভূমিমন্ত্রী  কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

ঢাকা: স্থানীয়ভাবে জমি সংক্রান্ত রেকর্ড মামলা নিষ্পত্তি করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। 

তিনি বলেন, রেকর্ড মামলা নিষ্পত্তির জন্য জেলা প্রশাসক, জিপি (সরকারি কৌঁসুলি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। ওই কমিটি প্রার্থীর বক্তব্য শুনে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবে।

বর্ণিত কমিটির আপিল কর্তৃপক্ষ হবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভূমি রেকর্ড ও আপিল বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দেওয়ানি মামলার রায়ের ভিত্তিতে রেকর্ড সংশোধনসহ সরকারি সম্পত্তি সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

ভূমিসচিব মাক্‌ছুদুর রহমান পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় নির্ধারিত আলোচক ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল হান্নান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান উম্মুল হাছনা, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলাম।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সরকারি সম্পত্তি ভুলভাবে রেকর্ড হলে তা রক্ষা করতে হবে, অন্যদিকে ব্যক্তি-জমি খাস হিসেবে রেকর্ড হয়ে গেলে মানুষ যেন ভোগান্তিতে না পড়ে তাতেও লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা এমন একটি ‘সিস্টেম’ দাঁড় করাতে চেষ্টা করছি যেন এ ধরনের ভুলভ্রান্তির জন্য কারো সর্বোচ্চ আদালতে যেতে না হয়। কারও পৈত্রিক সম্পত্তি সিএস ও আরএস রেকর্ডে থাকার পরেও যদি হাল জরিপে ভুলভাবে সরকারি তালিকাভুক্ত হয় তাহলে তা স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। এজন্য যেন শুরুতেই আদালতে যেতে না হয়।

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পালন করলে ভূমিসেবায় আর সমস্যা থাকবে না। আপনাদের মাঠ পর্যায়ে লব্ধ অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর মাধ্যমে মানুষকে সেবা ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখলে আজকের এবং আগামী প্রজন্ম ভালো থাকবে। আমাদের সবার সাধারণ বুদ্ধি প্রয়োগ করতে হবে কোনো কাজ করার আগে।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইন) আনিস মাহমুদ। মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে যৌক্তিকতাসহ নামজারির কেস রেকর্ড পাঠানো, সরকারি জমির ক্ষেত্রে তামাদি শব্দটি প্রযোজ্য না করাসহ নয়টি সুপারিশ দেন আনিস মাহমুদ।  

বাংলাদেম সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ