মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে মহানগরীর পিচকার প্যালেস মোড়ে ওজোপাডিকোতে অস্থায়ীভাবে কর্মরত পিচরেট শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ তোলা হয়।
সমিতির সভাপতি তৈয়েবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল ইসলামের পরিচালনায় এসময় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি বলেন, সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে ওজোপাডিকো কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। মানুষের ভোগান্তি না বাড়িয়ে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রি-পেইড মিটার ভোগান্তির অবসান করুন।
পিচরেট শ্রমিকদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন চাকরি করেও আজ ওজোপাডিকোর এসব অসহায় শ্রমিকদের মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। তাদের সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দিন কাটছে না খেয়ে, অর্ধাহারে-অনাহারে।
তিনি বলেন, আমরা শুনতে চাই না ওজোপাডিকোর কোনো শ্রমিকের সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে, শুনতে চাই না কারো চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে, শুনতে চাই না কেউ না খেয়ে রয়েছেন, আমরা শুনতে চাই কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে, চাকরি পেয়েছে যে যার যোগ্যতা অনুযায়ী।
খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসীন বলেন, এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল শ্রমিকদের মুক্তির জন্য। আজ এদেশের শ্রমিকরা শোষিত। ওজোপাডিকোতে যেটি চলছে তা অত্যন্ত অমানবিক। ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজের চাকরির মেয়াদ ৬৫ বছর, একাধিকবার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো, সুবিধাজনকভাবে চাকরিবিধি তৈরি করলেও দীর্ঘদিন কর্মরত পিচরেট শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের ব্যাপারে কোননো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বরং কেউ দাবি-দাওয়ার কথা বললে শোকজ করা হয়, চাকরিচ্যুত করা হয়। এটি চলতে পারে না, চলতে দেওয়া যায় না।
তিনি ভারত, চীন, জাপানসহ উন্নত দেশগুলোতে যেহেতু প্রি-পেইড মিটার নেই সেহেতু বাংলাদেশ থেকেও প্রি-পেইড মিটার নামক যন্ত্রদানবের অবসান দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি ওজোপাডিকোর পিচরেট শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের দাবি জানান।
খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ওজোপাডিকোর এমডি একজন স্বাধীনতাবিরোধী লোক। এজন্য ভেতরে ভেতরে সব সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড করছেন। বিশেষ করে জনগণ যাতে সরকারের বিরুদ্ধে যায় সে ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
পিচরেট শ্রমিকরা যতক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ী না হবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব আন্দোলনের সঙ্গে তারা থাকবেন।
মানববন্ধনে নগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিত কুমার রনো, খুলনা টিইউসির সভাপতি এইচ এম শাহাদাৎ, শ্রমিকলীগ নেতা বাবুল হোসেন, নাজু, মোতালেব মিয়াসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এমআরএম/এএ