মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে আয়নাপুর এ এম মডেল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আয়নাপুর এ এম মডেল স্কুলের শিক্ষক মো. আসলাম মিয়া, মো. ফারুক মিয়া, শিক্ষিকা পারুল বেগম, শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার ও রুবেল মিয়া।
বক্তারা বলেন, পুলিশ সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়। সেই পুলিশ কেন রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করলো। পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন সজিব মিয়াকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত সবার ফাঁসি দিতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের যাবো আমরা।
মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
১৪ জুন (শুক্রবার) বিকেলে মগড়া ইউনিয়নের বাহিরশিমুল নানার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হয় সজিব। নিখোঁজ হওয়ার পর টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। ১৬ জুন (রোববার) দুপুরে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় গলায় রশি ও মুখে স্কচটেপ পেচানো এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কোনাবাড়ি গ্রামের সামাদ মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম মরদেহটি তার ছেলে সজিবের বলে শনাক্ত করেন। পরদিন জাহানারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে এ ঘটনার সঙ্গে কনস্টেবল মোশারফ হোসেন হৃদয় ও মো. সজিবের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তাদের দু’জনকে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দু’জনেই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
আরএ