মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস (২৬ জুন) উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ডোপটেস্টের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি।
ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত মাদক নিয়ন্ত্রণে সুরক্ষিত কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে বারবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো কথাই কার্যকর হয়নি। আমরা তাদের বারবার অনুরোধ করেছি। তারা পাল্টা বলে আসছে এগুলো অবৈধ। আমরা চাই এ কথার বাস্তবায়ন হোক। কারণ তারা এগুলোর বিরুদ্ধে সবসময় বলে আসলেও কাজ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এখন ভারত থেকে ফেনসিডিল আনার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আগে ভারত থেকে যে পরিমাণ ফেনসিডিল আসতো এখন তার ৫৯ ভাগও আসে না। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যারা ফেনসিডিল তৈরি করে তারা যাতে সেখানে সে কাজটি না করে সে বিষয়ে ভারতকে বলা হয়েছে। ভারতও সে বিষয়ে কাজ করছে। এরপরেও কিছু যে আসছে না আমি সেটা বলবো না। আমরা সেই জায়গাটিতে কাজ করছি।
অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত শক্তিশালী করা হয়েছে। সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া সীমান্তের কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে হেলিকপ্টার ছাড়া যাওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী দুটি হেলিকপ্টার কেনার অনুমতি দিয়েছেন। এই দুটি হেলিকপ্টার আসছে। মোটকথা আমরা সর্বাত্মক প্রতিষ্ঠা করবো যাতে সীমান্ত দিয়ে অবাধে মাদক না আসে।
রোহিঙ্গারা মাদকব্যবসা করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষার জন্য আশ্রয় দিয়েছি। এতে আমাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। কিন্তু ইয়াবা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসছে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ব্যবসা করে থাকে। এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার সময় বিজিবির সঙ্গে গুলির ঘটনা হলে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটে। কারণ সেলফডিফেন্স আইনের আওতায় নিরাপত্তা বাহিনী অস্ত্র চালায়।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত কতোজন মারা গেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে হত্যা করেন না। বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা যে তালিকা পাই, তা একত্রে করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দেওয়া হয়। তখন তারা বিভিন্ন অভিযানে যান, অপরাধী চ্যালেঞ্জ করলে এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। এছাড়া যারা অবৈধ ব্যবসা করে তাদের পেশীশক্তির প্রয়োজন হয়। কিংবা তাদের অবৈধ অস্ত্রের প্রয়োজন হয়। যেখানে অবৈধ ব্যবসা আছে সেখানেই অবৈধ অস্ত্র থাকে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস