মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদনের উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিতব্য সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।
প্রকল্পটি প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান (রেল পরিবহন উইং) আবুল বাকের মোহাম্মদ তৌহিদ বাংলানিউজকে বলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ২১টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ নবরূপদান’ শীর্ষক প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপনা করা হবে। প্রকল্পের ব্যয় ২৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে জার্মানি থেকে এক হাজার ৬৫০ হর্স পাওয়ার বিশিষ্ট ২১টি ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভ কেনা হয়েছিল। মিটারগেজ ডিজেল লোকোমোটিভগুলোর আয়ুষ্কাল আরও আগেই পেরিয়ে গেছে। এখন ভালো সার্ভিসও দিতে পারছে না। এজন্য এসব পুরাতন ইঞ্জিন মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
রেল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই ২১টি লোকোমোটিভগুলো প্রধাননত মেইন লাইনে চলতো। তবে বর্তমানে এগুলোর কার্যক্ষমতা একেবারে কম। বিভিন্ন জটিলতার কারণে এসব লোকেমোটিভগুলো মেরামত করা সম্ভভ হয়নি। ফলে অনেক লোকেমোটিভ সিডিউল অভারভিউ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) সুবীর কিশোর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটির ফলে রেলের সেবার পরিধি বাড়বে। ইঞ্জিনগুলো ২০ বছরের জন্য নব যৌবন ফিরে পাবে। ফলে রেলের গতি বাড়বে। গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে লোকোমোটিভ প্রাপ্যতা বৃদ্ধি, সুষ্ঠু ও নিরাপদ ট্রেন পরিচালনা এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। নতুন রূপে ঢেলে সাজানো হলে আরও ২০ বছর সার্ভিস দিতে পারবে।
কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার (কেলোকা) এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, রেলপথে গতি বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হযেছে। ২১টি ইঞ্জিনের মধ্যে দু’টি কারখানায় পড়ে আছে। বাকি ১৯টি কোনোমতে সচল। এগুলো মেরামত করলে রেলপথে গতি বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এমআইএস/এনটি