সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা আয়োজিত ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও অমুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে সত্য কথা বা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা মানে বিপ্লব করা।
তিনি বলেন, অনেকে অমুক্তিযোদ্ধা হয়েও সরকারের বড় বড় কর্মচারী হয়ে থেকেছেন। পরে কেউ কেউ ধরাও পড়েছেন। আবার অনেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অথচ তারা এখনও স্কীকৃতি পাননি। গ্রামে যেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক যাচাই-বাছাই করলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বেরিয়ে আসবে।
সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ বলেন, যুদ্ধের আগে বঙ্গবন্ধু বলেছেন- একজন পাকবাহিনী থাকা সত্ত্বেও তোমরা তোমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাবা। তার সেই কথা মতে যারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বা যুদ্ধে ছিলেন কেবল তাদেরই মুক্তিযোদ্ধা করে তালিকা প্রণয়নের দাবি জানাই। বাকিরা কেউ মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবে না, তারা সুবিধাবাদি, অমুক্তিযোদ্ধা।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা না হওয়ার পেছনে মুক্তিযোদ্ধারাই দায়ী। যখন যাচাই-বাছাই হয় তখন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অমুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেয়। তাদের কারণে এসব সমস্যা তৈরি হয়েছে। লিস্টে এসেছে অমুক্তিযোদ্ধারা।
সংগঠনটির সভাপতি আবীর আহাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান কে এম শফিউল্লাহ বীরউত্তম, মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাসেম আলী, গাজী মিজান রহমান, রাহাতুল্লাহ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
ইএআর/এনটি