ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাউফলে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের পর উদ্ধার, আটক ৮

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫১ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
বাউফলে পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের পর উদ্ধার, আটক ৮

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে জমির বিরোধ নিয়ে সৃষ্ট সংঘর্ষের সময় ১০ রাউন্ড গুলিসহ পুলিশের পিস্তল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটার ছয় ঘণ্টা পর ওই এলাকার একটি বাড়ির নারিকেল গাছ থেকে গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ উভয় পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছে।

এদের মধ্যে ৪ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আট জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজিরপুর ইউপির বড় ডালিমা গ্রামের হাকিম হাওলাদার গংদের সঙ্গে একই বাড়ির কামাল হোসেন গংদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

সোমবার সকালে ওই জমিতে কামাল হোসেন গংরা প্রায় ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করতে যায়। হাকিম হাওলাদার গংরা জমি চাষে বাধা দিতে গেলে তাদের জমির কাছে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়া হয়।

হাকিম হাওলাদার এ ঘটনা বাউফল থানায় জানালে ঘটনাস্থলে তিনজন পুলিশ গেলে কামাল হোসেনের পক্ষের ফারুক হাওলাদারের স্ত্রী খাদিজা বেগম পুলিশের চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয় এবং তার সঙ্গে থাকা ফিরোজ হাওলাদার মাঈনুদ্দিন নামে এক এএসআইয়ের কোমর থেকে ১০ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনা বাউফল থানার পুলিশ জানতে পেরে ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়।

এসময় পুলিশের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম ফয়সাল আহমেদ মনির হোসেন মোল্লা ও নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর দুপুর একটার দিকে ফিরোজের বাড়ির একটি নারিকেল গাছ থেকে লুণ্ঠিত গুলি ও পিস্তল উদ্ধার করে।

এদিকে জমির বিরোধে পুলিশের সামনেই চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন।  

আহতরা হলেন- সেরাজ হাওলাদার (৬০),আবু বকর (২৫), মাকসুদা বেগম (৩৫) সহিদুল (১৮), বিউটি বেগম (৪৫), হালিম হাওলাদার (২০), অলিল (১৫), মনোয়ারা (৭০), নাজমা (৩৫), ইমরান (২০), কামাল (৪৫), আলম (৫২), মকবুল (৬০), দুলাল (৩৫), নিলুফা (৪০) এবং নূরভানু (৫৫)।  

আহতদের মধ্যে ১১ জনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৪ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

আহত পুলিশ সদস্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার পর থেকে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হাসান বাউফলে অবস্থান করছেন। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad