ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইবির পরিবহন পুলে ৪টি নতুন গাড়ি সংযুক্ত

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
ইবির পরিবহন পুলে ৪টি নতুন গাড়ি সংযুক্ত গাড়িগুলো উদ্বোধন করছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। ছবি: বাংলানিউজ

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহন পুলে যুক্ত হয়েছে আরো ৪টি গাড়ি। সোমবার (২৪ জুন) প্রশাসন ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়িগুলো উদ্বোধন করেন।

পরিবহন পুলে নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানের লক্ষ্যে ২টি এসি কোস্টার, ১টি অ্যাম্বুলেন্স, ১টি মাইক্রোবাস ক্রয় করে প্রশাসন। ক্রয়কৃত গাড়িগুলোর মধ্যে এসি কোস্টার ২টি শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ১০ মাসের ব্যবধানে আবারো ৪টি গাড়ি ক্রয় করা হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য কেনা হয়নি কোনো গাড়ি। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নতুন বিভাগ খুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়ানো হয়নি কোনো গাড়ি। কিছুদিন আগে পাবনা ডিপো থেকে ২টি দ্বিতল বাস ভাড়া করা হলেও বাস ২টি অধিকাংশ সময় রাস্তায় বন্ধ হয়ে যায়। পথে শিক্ষার্থীদের বাস ঠেলে চালু করতে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৩ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১টি দ্বিতল গাড়ি উপহার দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিস থেকে গাড়িটি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দ দেন। এর পর থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে কোনো গাড়ি ক্রয় করা হয়নি।

আরো জানা যায়, ২০১৭ সালে ২টি এসি কোস্টার ১টি মাইক্রোবাস, ১টি পাজারো গাড়ি এবং ২০১৮ সালে ২টি এসি কোস্টার, ২টি পাজারো গাড়ি ক্রয় করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে তিন ধাপে ৬টি এসি কোস্টার, ৩টি পাজারো, ২টি মাইক্রোবাস এবং ১টি অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  

এর মধ্যে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১ বিভাগে ৭৭০টি আসন বাড়ানো হয়েছে। আসন বৃদ্ধি করা হলেও নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষার্থীদেব জন্য কোনো গাড়ি কেনা হয়নি। এতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।
 
তবে পরিবহন অফিসের দাবি এই সময়ের মধ্যে পাবনা ডিপো থেকে বিআরটিসির দ্বিতল বাস ও কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কিছু গাড়ি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি ভাড়াকৃত গাড়ির সংখ্যা শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া অধিকাংশ গাড়িগুলো ফিটনেসবিহীন। বেশিরভাগ সময় রাস্তায় বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের নিজেদের ঠেলে চালু করতে হয়। এছাড়াও অনেক সময় চালক ও হেলপাররা শিক্ষার্থীদের না উঠিয়ে অন্য যাত্রীদের উঠিয়ে ভাড়া খাটায়।  

এ বিষয়ে সাকিব, জনি, তামান্না নামে একাধিক শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানান, বিগত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গাড়ি ক্রয় করলেও আমাদের জন্য কোনো গাড়ি ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবহনের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ইউজিসির দেওয়া টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকেই ৪টি গাড়ি ক্রয় করা হয়েছে। আগামী ঈদের পর পরই শিক্ষার্থীদের জন্য ৫২ সিটের ২টি বাস আনা হবে। আশা করছি সমস্যা নিরসনের সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।