সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলা হয়।
উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন), ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইক্যুইটিবিডি), প্রান্তজন ট্রাস্ট, এশিয়া-প্যাসিফিক মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও সায়োনারা কোল-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্লিন-এর প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পরিবেশ-কথক গৌরাঙ্গ নন্দী ও মাহবুব আলম প্রিন্স।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শক্তিশালী ২০টি দেশের এই জোট সম্মিলিতভাবে পৃথিবীর জ্বালানিসংশ্লিষ্ট গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের ৮০ শতাংশের জন্য দায়ী। সুতরাং ক্ষতিকর কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানি রোধে এই দেশগুলোর সুনির্দিষ্ট দায়-দায়িত্ব আছে। কিন্তু তারা সেটি না করে বরং ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়ে তুলছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শুধু ২০১৬ সালে জি-২০ভুক্ত দেশগুলো কয়লা ও অন্যান্য নোংরা জ্বালানিখাতে ১৪ হাজার ৭শ কোটি ডলার ভর্তুকি দিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে হাসান মেহেদী জানান, উন্নত ও অগ্রসর দেশগুলো আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা ও অন্যান্য ক্ষতিকর জ্বালানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু তারা সেটা মানছে না। আবার তাদের দেশের ক্ষতিকর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় স্থানান্তর করে দিচ্ছে।
তিনি জানান, বিগত ৫-৬ বছরে জি-২০ভুক্ত এশীয় দেশ ভারত, চীন, জাপান ও কোরিয়া বাংলাদেশে ৩২টি কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে বলে চুক্তি সই করেছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আমাদের উপকূলীয় পরিবেশ প্রতিবেশের উপর অত্যন্ত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২৮-২৯ জুন অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের নেতাদের কাছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো পক্ষ থেকে কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ বন্ধ করা, শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রবর্তনের জন্য অধিক হারে বিনিয়োগ করা, দূষণকারী শিল্প-কারখানা বন্ধ করা এবং জ্বালানিখাতে জনগণের মালিকানা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা চালু করার দাবি জানানো হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজকরা আগামী ২৭ তারিখ দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এমআরএম/এএ