ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

আর্থিক লেনদেনের জেরে খুন হন না’গঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
আর্থিক লেনদেনের জেরে খুন হন না’গঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলনে এসপি মো. সাইফুল ইসলাম। ইনসাটে আসামি আবুল তালুকদার। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশালের উজিরপুরে উদ্ধার হওয়া নারায়ণগঞ্জের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নজরুল চৌধুরীকে হত্যার মূলহোতা আবুল তালুকদারকে (৪০)  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইন্সের ইন সার্ভিস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার  (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত গামছা ও ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আবুল তালুকদার উজিরপুর উপজেলার কাজিরা এলাকার মৃত খালেক তালুকদারের ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জে থেকে তিনিও স্বর্ণের ব্যবসা করতেন।

পুলিশ সুপার বলেন, আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরে নজরুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন মুলহোতা আবুল তালুকদার।

এসপি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উজিরপুর থানাধীন মুগাকাঠি গ্রামের একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ৪৮ বছরের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। পরে নিহতের ছেলে মুন্না চৌধুরী বাদী হয়ে উজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উদ্ধার হওয়া মরদেহ কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার শালধর স্বর্ণকারপাড়ার মৃত রূপ মিয়া চৌধুরীর ছেলে নজরুলের ছিলো। যিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার বাকুরাইল মোবারক শাহ রোড এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সেখানে বাসা ভাড়া করে তিনি দীর্ঘবছর ধরে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতেন এবং স্বর্ণের ব্যবসা করে আসছিলেন।

গ্রেফতার হওয়া আবুল তালুকদারের সঙ্গে নিহত নজরুল চৌধুরীর আর্থিক লেনদেন হতো যার সূত্র ধরেই তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আবুলের সঙ্গে আরও ৩ থেকে ৪ জন জড়িত রয়েছেন। যারা নিহত নজরুলকে টাকা লেনদেনের কথা বলে নারায়ণগঞ্জ থেকে ২ জুন উজিরপুরের মুগাকাঠিতে নিয়ে আসেন। পরে তাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং মৃত্যুর পর পেটে ব্লেড দিয়ে পোচ দিয়ে পুকুরে ফেলে দেয় মরদেহ। ওই সময় নিহত নজরুলের কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গ্রেফতার হওয়া আবুল ঢাকায় চলে যায়।

এসপি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব, সহকারী পুলিশ সুপার মফিজুল ইসলাম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।