রোববার (২৩ জুন) দিনগত রাতে টঙ্গী পূর্ব ঘাপরিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
নিহত সাইফুর রহমান সাইফের (১৪) বাবা আব্দুল কাইয়ুম জানান, তিনি বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় হারুনের নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাড়ায় একটি ওয়ার্কশপ ভাড়া নেন।
র্যাব জানায়, ঘটনার দিন কাইয়ুম সকালে তার ছেলে সাইফকে দোকানে বসিয়ে ভাড়ার টাকার বন্দোবস্ত করতে যায়। দুপুর ১২টায় দোকানের মালিক হারুন ও তার ৫ থেকে ৬ জন সহযোগী ভাড়া তুলতে আসেন। এসময় তারা ভাড়ার টাকা না পেয়ে সাইফকে বেধড়ক মারধর করে সাটার বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে বন্ধ দোকানের ভেতর চলন্ত লেদ মেশিনের শব্দ পেয়ে পাশের দোকান ও স্থানীয় লোকজন ভেতরে প্রবেশ করলে সাইফকে লেদ মেশিনের সঙ্গে পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
র্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, রোববার রাতে র্যাব-১ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে টঙ্গী পূর্ব ঘাপরিয়া মাদ্রাসা থেকে হারুনকে আটক করা হয়। টঙ্গীর মাছিমপুর ‘নিউ মা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ’ লেদ মেশিনের ওপর ধাক্কা দিয়ে সাইফকে ফেলে দেন হারুন ও তার সঙ্গীরা। এতে লেদ মেশিনে পেঁচিয়ে সাইফের মৃত্যু হয়।
ঘাতক হারুন ‘মুন সান প্রোপারটিজ’ নামে একটি ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। পাশাপাশি মাছিমপুর এলাকায় ভাড়া দেওয়া হারুনের বেশ কয়েকটি দোকান আছে। এসব দোকানের একটিতে সাইফের বাবা দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্কশপ পরিচালনা করে আসছিল। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করার কথা থাকলেও ভিকটিমের বাবা গত মে মাসের ভাড়া সময়মতো পরিশোধ করতে পারেননি। এনিয়ে একাধিকবার তাগাদা দিলেও ভিকটিমের বাবা কাইয়ুম ভাড়া পরিশোধে ব্যর্থ হন।
গত ২২ জুন সকালে আসামি ও তার লোকজন সাইফকে মারধর করার সময় ভিকটিম চলন্ত লেদ মেশিনে পড়ে গেলে তারা তাকে ভেতরে রেখেই বাইরে থেকে দোকানের সাটার বন্ধ করে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এমএমআই/এএটি