ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ডিআইজি মিজানুর রহমান

ঢাকা: ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগে পুলিশের আলোচিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান এবং তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৪ জুন) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির পরিচালক মনজুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি (মামলা নম্বর ১) দায়ের করেন। বাংলানিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

এর আগে দুদকের কমিশন সভায় মামলাটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান।

গত বছরের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

২০১৮ সালে একটি জাতীয় দৈনিকে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকাকে জোর করে বিয়ে করার সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এরপর নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে বিতর্কিত এই ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।

এদিকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অনুসন্ধান শেষে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির।

ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার এক ভাই ও ভাগ্নের নামে করা সম্পদসহ ৪ কোটি ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হয়।

এদিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির তার (মিজান) কাছ থেকে রিপোর্ট পরিবর্তনের জন্য ৪০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তথ্য পাচারের অভিযোগে এরইমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে দুদক।

এছাড়া ডিআইজি মিজানকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না মর্মে গত ১৬ জুন এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad