ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সততার পুরস্কার পেলেন ১৫ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
সততার পুরস্কার পেলেন ১৫ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কখনো দুর্নীতি করেননি, ইচ্ছে করে ফাইল আটকে রাখেননি, কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ থেকেছেন এমন ১৫ কর্মকর্তাকে এক মাসের বেতন সমপরিমাণ অর্থ পুরস্কার দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে তাদের সততার স্বীকৃতিস্বরূপ সনদও দেওয়া হয়।

রোববার (২৩ জুন) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে ‘বার্ষিক কর্মসম্পদান চুক্তি ২০১৯-২০ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান’-এ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের হাত থেকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ পুরস্কার নেন তারা।

সততার পুরস্কার পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাসেম, কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম প্রধান মনজুরুল আনোয়ার, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম প্রধান স্বপন কুমার ঘোষ, পরিকল্পনা বিভাগের উপ সচিব ড. উত্তম কুমার দাশ, কার্যক্রম বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান সাবিনা রওশন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান শিমুল সেন, শিল্প ও শক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান জালাল হাবিবুর রহমান।

এছাড়া পুরস্কার পেয়েছেন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান নাজমুল হাসান, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর রাসেল হাওলাদার, পরিকল্পনা বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর রীতা রানী মণ্ডল, কার্যক্রম বিভাগের ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর জুনাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের অফিস সহায়ক মিজানুর রহমান সেরনিয়াবাদ, কৃষি পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের অফিস সহায়ক বেগম আলেখাঁ আক্তার, শিল্প ও শক্তি বিভাগের অফিস সহায়ক মাসুদুর রহমান ও ভৌত অবকাঠামো বিভাগের অফিস সহায়ক নাসির উদ্দিন।

সততার পুরস্কারে নগদ অর্থ ও সনদ পেয়ে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এটা ভালো কাজের স্বীকৃতি। সামনে আরো ভালো কাজ করার উৎসাহ পেলাম। পুরস্কার পেয়ে ভালো লাগছে। আমি কখনো ইচ্ছা করে অফিসের কাজে গাফিলতি করিনি। সব সময় কাজের মধ্যে ডুবে থেকেছি। বাকি জীবন সততার সঙ্গে অতিবাহিত করে দেশের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করা আমার উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই হয়।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সব কাজে শুদ্ধাচার থাকতে হবে। সরকারের নতুন উদ্যোগ শুরু হয়েছে, আমরা সততার সঙ্গে কাজ করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের সামনে যেতে হবে। ভয়ের কিছু নেই। জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনারা সময় অপচয় করবেন না। সময় অপচয় করলে এটা ফিরে পাবো না। আমাদের সবাইকে সৎভাবে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হবে।

সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত কর্মকর্তা বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব নূরুল আমিন বলেন, আমরা নানা বিষয় চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই সৎ কর্মকর্তাদের পুরস্কার দিয়েছি। এর আগে এসব কর্মকর্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এক সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তখন বিদেশে গেলে মুখ দেখাতে পারতাম না। এখন আমাদের বাংলাদেশ আর দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় না। সরকার কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে, ঋণ দিচ্ছে গাড়ি ও বাড়ি কেনার জন্যও। এছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রয়েছে নানা সুযোগ-সুবিধা। সুতরাং, দুর্নীতি করার কোনো প্রশ্নই উঠে না।
 
এ উদ্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ধীরে ধীরে দুর্নীতি কমিয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পরিকল্পনা সচিব।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এমআইএস/এইচএডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।