বাড়ির চারপাশে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের এমন মাইকিংয়ের কারণে নিজ এলাকায় ইমেজ সংকটে পড়ার আশঙ্কায় এরইমধ্যে নড়েচড়ে বসেছেন খেলাপিরা। পাশাপাশি বকেয়া গৃহকর আদায়ে ব্যাপক সাড়াও পড়েছে বলে দাবি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের।
বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু বাংলানিউজকে জানান, গত ১৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বকেয়া গৃহকর বাড়ি ও ভবনের মালিকরা দিতে শুরু করেছেন।
সিটি করপোরেশনের কর ধার্য শাখা সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল নগরে ১ হাজার ৫২ জন ব্যক্তি রয়েছেন যারা নিয়মিত গৃহকর পরিশোধ করছেন না। ফলে তাদের কাছে বহু টাকা গৃহকর বকেয়া পড়েছে।
যার মধ্যে ১৭৯ জন রয়েছেন যাদের খেলাপির পরিমাণ অনেক বেশি। এদের কাছে মোট ১ কোটি ৮৩ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৮ টাকা বকেয়া রয়েছে। তারা কেউ কেউ রয়েছেন ১৯৯৩ সাল থেকে গৃহকর পরিশোধ করছেন না। এদের মধ্যে অনেক ভিআইপি এবং ভি-ভিআইপিও রয়েছেন। রয়েছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত নেতাসহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সাবেক জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ অনেকে।
সিটি করপোরেশনের কর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বাবলু জানান, এসব ব্যক্তিদের গৃহকর পরিশোধের জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই তারা বকেয়া কর পরিশোধ করেননি। তাই বকেয়া আদায়ের কৌশল হিসেবে মাইকিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এদিকে, নগরবাসী যারা মাইকিং শুনেছেন তারা জানান, গৃহকর পরিশোধ না করা খেলাপিদের বাড়ির সামনে গিয়ে মাইকে ব্যক্তির নাম ও হোল্ডিং নম্বরে বিষয়টি উল্লেখ করে সরাসরি বকেয়া পরিশোধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। অন্যথায় তাদের মাল ক্রোকের হুঁশিয়ারি দেয়া হচ্ছে মাইকিংয়ের মাধ্যমে। এভাবে ওই বাড়ির চারপাশে ঘুরে ঘুরে মাইকিং করা হচ্ছে।
সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু বলেন, কর ধার্য শাখার তথ্য অনুযায়ী, গৃহকর খেলাপি ১৭৯ জনের মধ্যে ভিআইপি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি রয়েছেন। যাদের কাউকেই কোনোভাবে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। এরপরও যারা বকেয়া গৃহকর পরিশোধ করবে না, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাল ক্রোকের অভিযান চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এমএস/আরবি/