শনিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের অদূরে অবস্থিত সামার স্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রাখালগঞ্জের মৃত ডা. শামছুল হকের ছেলে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় নিহত সুমনের সঙ্গে বসবাসরত প্রবাসীদের বরাত দিয়ে তার পরিবার জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় মাইক্রোবাসযোগে মালামাল নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনার প্রাণ হারান তারা। পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে কেপটাউন হাসপাতাল মর্গে রেখেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে কবে নাগাদ তাদের মরদেহ দেশে আসবে, তা সোমবার (২৪ জুন) জানা যাবে।
নিহত সুমনের পরিবার আরও জানায়, বাবা-মায়ের ১০ সন্তানের মধ্যে সুমন ছিলেন আট নাম্বারে। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান তিনি। সেখানে গিয়ে গড়ে তুলেন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিদেশ যাওয়ার পর এখন পর্যন্তও দেশে ফেরেনি সুমন। বাড়ির সবাই তাকে দেশে ফেরার জন্য চাপ দিলে আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছিলেন।
দেশে এলে তাকে বিয়ে করাবেন- এ আশায় পাত্রীও দেখে রেখেছিলো তার পরিবার। কিন্তু সেই আশা কেবল আশাই রয়ে গেলো। যেখানে এতো বছর পর সুমন দেশে আসবে, তার বিয়ে হবে- এসব আশায় পুরো বাড়িতে উৎসবের রঙ ছড়ানোর কথা, সেখানে তার মৃত্যুতে এখন পুরো বাড়িজুড়েই চলছে শোকের মাতম।
সুমনের ছোট ভাই এমাদুর রহমান রিমন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদুল আজহার আগেই তার দেশে ফেরার কথা ছিল। তার জন্য পাত্রীও দেখে রাখা হয়েছিল। ভাইয়ের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এনইউ/এসএ