রোববার (২৩ জুন) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আনোয়ারুল হক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- বিরল উপজেলার রতনৌর গ্রামের আব্দুর রহমানের দুই ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও শরিফুল ইসলাম।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রতনৌর গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী সুরাতন নেছা ও তার অপর দুই ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, মোহবুর রহমান। একই গ্রামের চান মোহাম্মদের ছেলে মতিবুর রহমান ওরফে মতিউর রহমান মঙ্গলু, তার স্ত্রী নুর নেহার ও ছেলে জাফরুল হক, নাতী রাসেল হক। মৃত সমির উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহমান, আব্দুল মালেকের ছেলে গোলাম রব্বানী, মৃত কেরাম উদ্দীন সরকারের ছেলে আব্দুস সামাদ, মৃত মেনু মোহাম্মদের ছেলে নাজমুল হক, শরিফুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা খাতুন, নাজমুল হকের স্ত্রী মল্লিকা বেগম। হযরত আলীর ছেলে রোস্তম আলী ও রোস্তমের স্ত্রী তাজুন নেহার, ঝানঝু মোহাম্মদের ছেলে আনিছুর রহমান ও আনিছুরের স্ত্রী কুলসুমা খাতুন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
এ হত্যা মামলার ১৯ আসামির মধ্যে আব্দুর রহমান ও আকলিমা খাতুন পলাতক রয়েছেন।
মামলাটি সরকার পক্ষে পরিচালক করেন অতিরিক্ত পিপি মো. হাসনে ইমাম নয়ন ও অ্যাডভোকেট একরামুল আমিন।
আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মাজহারুল ইসলাম সরকার, মো. মোসলেম উদ্দিন সরকার ও স্টেট ডিফেন্স কৌশুলি মো. খলিলুর রহমান।
২০০৪ সালের ২৯ অক্টোবর সকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে রতনৌর গ্রামের আব্দুল বারী মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এনটি