জানা যায়, উপজেলার ভেলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য আফছার আলী প্রকল্পটির চেয়ারম্যান হিসেবে তা বাস্তবায়ন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটির অযোগ্যতার কারণে লেখাপড়ার মান ও অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে বিদ্যালয়টিতে। বারান্দা ঢালাইয়ে ইট নয় বালু ও সিমেন্টের ঘোলা দিয়ে মাটি ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বাঁধা দিয়েও রাতের আঁধারের কাজ বন্ধ করা যায়নি।
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বাংলানিউজকে বলেন, আগে পড়াশোনার মান ভাল থাকায় শিক্ষার্থীর কোলাহলে মুখর থাকতো বিদ্যালয়টি। ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকত্তোর নেওয়া প্রধান শিক্ষক যোগদান করে নিজেই কোনো ক্লাস নেন না। ফলে দিনদিন শিক্ষার মান নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। তাই তিনি তার সন্তানকে পাশের বে-সরকারি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে ভর্তি করেছেন। তার মতো অনেকই সন্তানদের স্থান্তারিত করায় এখন শিক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধের নিচে নেমেছে।
ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ বিদ্যালয়ের বারান্দায় বিদ্যুতের আলো দেখে এগিয়ে গিয়ে দেখি বারান্দা ঢালাইয়ের কাজ করছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি আফছার আলী। রাতে না করে দিনের আলোয় কাজ করতে বলেছি। কিন্তু তারা সে কথা রাখেনি। কাজের মান ভাল নয় তাই রাতে করা হয়েছে।
ভেলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ পাওয়ায় মিটিং করে কমিটি গঠন করি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটি কাজ করছেন। তবে রাতে কাজ করার বিষয়টি আমার জানা নেই।
ভেলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউপি সদস্য আফছার আলী বাংলানিউজকে বলেন, দিনে শ্রমিক পাওয়া যায় না। তাই রাতে ঢালাই করে নেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের কাজ নয়। তিন ইঞ্চির ঢালাই দিয়ে তবে ঘোলা দেওয়া হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরীফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার ১২৬টি বিদ্যালয়ে নূন্যতম ৫০ হাজার টাকা হারে স্লিপের ও ২০টিতে ২ লাখ ও ১৭টিতে দেড় লাখ টাকা হারে ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাতের আঁধারে কাজ করার কোনো খবর আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এনটি