শনিবার (২২ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া সাকিনের নৌকা ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ৪৯ জন রোহিঙ্গা পাচার মামলার পলাতক আসামি টেকনাফ নাইটং পাড়ার রশিদ আহম্মদের ছেলে রুবেল ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাবিবুল্লাহর ছেলে ওমর ফারুক।
রোববার (২৩ জুন) সকালে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, টেকনাফের সাবরাং এর কাটাবুনিয়া এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য দালালদের সহযোগিতায় একদল রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রুবেল ও ওমর ফারুকসহ তাদের সহযোগী মানবপাচারকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল শামিম রেজা ও মহিউদ্দিন আহত হন।
‘একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়লে রুবেল ও ওমর ফারুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ওই দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। ’
ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র) ১১ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ ও ১৮ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এসবি/জিপি