ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কনস্টেবল নিয়োগে অবৈধ লেনদেন, আটক দু’জন জেলহাজতে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
কনস্টেবল নিয়োগে অবৈধ লেনদেন, আটক দু’জন জেলহাজতে

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে আটক দু’জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) আটক উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী,  সাংবাদিক খায়রুল বাশারের স্ত্রী শাহানাতুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক এসআই মোহাম্মদ আলী জামালপুর আদালতে কর্মরত। তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত ইনসান আলীর ছেলে। অপরজন ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক খায়রুল বাশারের স্ত্রী শাহানাতুল।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় দুপুর তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ১ জুলাই টাঙ্গাইল জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ করা হবে। সেখানে শেরপুরের নামপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ভাতিজা টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাড্ডা গ্রামের কবির মিয়া (১৯) একজন চাকরি প্রত্যাশী। পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য এসআই মোহাম্মদ আলী ও সাংবাদিক খায়রুলের সঙ্গে ১০ লাখ টাকা চুক্তি হয় ওয়াজেদ আলীর। শুক্রবার সাংবাদিক খায়রুল, তার স্ত্রী শাহানাতুল এবং এসআই মোহাম্মদ আলী একটি মাইক্রোবাসে করে জামালপুর থেকে টাঙ্গাইল আসেন। আসার পথে শাহানাতুলের কাছে ১০ লাখ টাকা দেন ওয়াজেদ আলী।

সন্ধ্যার পর তারা টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসেন। সেখানে ওয়াজেদ আলীকে জানানো হয় পুলিশ সুপার ব্যস্ত রয়েছেন, এখন দেখা হবে না। তাকে (ওয়াজেদ) নিচতলায় অপেক্ষা করতে বলেন। এ সুযোগে শাহানাতুল বাইরে গিয়ে তার স্বামী খায়রুলকে ব্যাগ থেকে টাকাগুলো বের করে দিলে তিনি টাকা নিয়ে চলে যান। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বাইরে এসে খায়রুল চলে যাওয়ায় শাহানাতুল ও এসআই মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন ওয়াজেদ আলী। ঘটনার সময় সেখানে অবস্থানরত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা তাদের আটক করেন। এসময় শাহানাতুলের ব্যাগ থেকে এক লাখ ৯৫ হাজার টাকা, তার স্বামীর পত্রিকার পরিচয়পত্র এবং তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।  

জিজ্ঞাসাবাদে শাহানাতুল জানিয়েছেন, তার স্বামী আট লাখ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে গেছেন। টাকা উদ্ধার এবং খায়রুল বাশারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জাননা পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

শনিবার সকালে ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতার দু’জন এবং শাহানাতুলের স্বামী খায়রুলকে আসামি করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় আরও বলেন, আগামী ১ জুলাই টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন থেকে কনস্টেবল পদে লোক নেওয়া হবে। সেখানে সরকারি নির্ধারিত পরীক্ষার ফি ১০০ টাকা ও ফরমের মূল্য তিন টাকা। এছাড়া কোনো টাকা লাগবে না। এ বিষয়ে কোনো অবৈধ লেনদেন করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্ত আসামিরা সম্পৃক্ত থাকায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।