ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীতে উচ্ছেদ অভিযান, ৩০ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
রাজশাহীতে উচ্ছেদ অভিযান, ৩০ ব্যবসায়ীকে জরিমানা উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরে আবারও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। উচ্ছেদ অভিযানে ৩০ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন  ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত অবৈধভাবে স্থাপন করা বেশকিছু দোকানপাটও উচ্ছেদ করা হয়।

এ সময় ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখেও পড়ে উচ্ছেদ অভিযানকারী দল। পরে দুপুরের খাবারের জন্য অভিযানের বিরতি দেওয়া হয়।  

অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল। উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেন রাজশাহীর মহানগর পুলিশের সদস্যরা।

অভিযানকালে নগরের ‘শাহজাহান ব্রাদার্স’ নামে একটি মুদির দোকানের মালামাল ফুটপাতে রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দোকান মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এদিকে এক আম বিক্রেতা ফুটপাতে ঝুড়ি সাজিয়ে রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আম বিক্রেতার পাশে একটি মিষ্টির দোকানের সাটার ছিল ফুটপাত দখল করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত মিষ্টির দোকান মালিককে ৩০ হাজার টাকা তাকে জরিমানা করেছেন।

রাজশাহী নগরের ব্যস্ততম এলাকায় ফুটপাত দখলমুক্ত করতে প্রায় প্রতিটি দোকানকে জরিমানা করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল বাংলানিউজকে জানান, নগরের সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় থেকে মনি চত্বর পর্যন্ত ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় অন্তত ৩০টি দোকানের মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। দুপুরের খাবারের পর নগরের মনি চত্বর থেকে রাস্তার অপর পাশে অভিযান শুরু করে তারা জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত আসেন।

এদিকে, নগরের মনি চত্বর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনার পর দুপুরের আগে সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদকারী দল লোকনাথ স্কুলের সামনের সড়কে অভিযান চালায়। প্রায় ৩০০ মিটার লম্বা সরু এই রাস্তাটির দুই পাশের ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো হয়েছিল। এসব দোকানের মধ্যে ২০টি পুনর্বাসিত। নগরের মুড়িপট্টি থেকে তাদের এখানে পুনর্বাসন করা হয়। কিন্তু এখানে আর মুড়ির ব্যবসা চলে না। তাই সবাই কম্পিউটার কম্পোজ ও অনলাইনে বিভিন্ন ফরম পূরণ এবং ফটোকপির দোকান করেছেন। পুনর্বাসিত ২০ জনের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন অস্থায়ীভাবে দোকান বসিয়ে ছিলেন। তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।

একইভাবে ৩০ মিনিট সময় দিয়ে সোনাদীঘি মনি চত্বরের পাশে মাস্টারপাড়ায় থাকা কাঁচাবাজারে অভিযান পরিচালনা করে উচ্ছেদকারী দল।

তবে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের পাশে সরু রাস্তাটির ওপরেই বসে কাঁচামালের দোকান। ৩০ মিনিট পর এখানে অভিযান চালাতে গেলে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়েন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে দুপুরের খাবারের জন্য অভিযানের বিরতি দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

এ সময় উচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলতে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে দেখা করার ঘোষণা দেন।

ঈদুল ফিতরের আগে প্রথম দফায় রাসিক উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
এসএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।