শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে উপজেলার নগর ইউনিয়নের দাড়িখৈল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার পারভেজ আটক তাসলিমা বেগম, তার স্বামী শহীদ উদ্দিন, ছেলে নুরুল ইসলাম, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতালেব হোসেন এবং কনের বাবা উপজেলার কুরষাট গ্রামের মুক্তার মৃধার নামে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন।
নগর ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য কার্তিক চন্দ্র বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে বরসহ তার বাবা-মা ও কনের বাবা এবং বাল্যবিয়ের সহায়তার অভিযোগে মোতালেব হোসেনের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে সরকার বদ্ধ পরিকর। তাই এ বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না।
নগর ইউপি চেয়ারম্যান নীলুফার ইয়াসমিন ডালু বাংলানিউজকে বলেন, আমার ইউনিয়নে কোনো বাল্যবিয়ে বরদাস্ত করা হবে না। কুরষাট গ্রামের মুক্তার হোসেনের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে জুঁইকে (১৩) বিয়ে দিতে নিষেধ করে এসেছিলাম গত শনিবার। পরে তারা নিষেধ উপেক্ষা করে গোপনে বিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ইউএনও অভিযানে বের হলে আমাদের পরিষদের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
আরএ