ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া সেই এএসআই সাসপেন্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া সেই এএসআই সাসপেন্ড রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার সেই সহকারী উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান হাফিজ

রাজশাহী: ছেলের সামনে বাবাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার সেই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাফিজুর রহমান হাফিজকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

বর্তমানে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এর আগে গত ১২ জুন এএসআই হাফিজকে রাজশাহী পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।

খবরটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত করেন পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে এএসআই হাফিজকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়। পরে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।  

এর আগে গত ১০ জুন সন্ধ্যায় ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে না পেয়ে ছেলের সামনেই বাবাকে পেটান দুর্গাপুর থানার এএসআই হাফিজ।  

স্ত্রীর করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন সন্ধ্যায় রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চৌবাড়ীয়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আসাদুল ইসলামকে আটক করেন দুর্গাপুর থানার এসআই হাফিজ।  

পরে আসাদুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনন্তকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ছেলের মুক্তির জন্য সাইদুল ইসলামের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করা হয়।  

কিন্তু টাকা দিতে না চাওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন তিনি। এ সময় তার কাছে থাকা ৯শ’ টাকা দিতে চান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙে দেন হাফিজ।  

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। ঘটনার পর ওই দিন গভীর রাতে আসাদুলকে ছেড়ে দেন অভিযুক্ত এএসআই হাফিজ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।