সরেজমিনে দেখা যায়, এ ঘাটের পন্টুনটি একেবারেই জরাজীর্ণ, আঁকা-বাঁকা। পরিচর্যার অভাবে ধরেছে মরিচা।
জানা যায়, প্রতিদিন এ রুট দিয়ে চরফ্যাশন, মনপুরা ও হাতিয়া থেকে পাঁচটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এসব লঞ্চ হাকিমুদ্দিন ঘাটে নোঙর দিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করায়।
একইভাবে ঢাকা থেকেও যাত্রীদের এ ঘাটে নামিয়ে দেয়। সে হিসাবে অন্তত দুই হাজার যাত্রীদের যাতায়াতের ভরসা এই হাকিমুদ্দিন পন্টুন। কিন্তু, দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে পন্টুনটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় এখানে এসেই যাত্রীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি।
পন্টুনটিতে ওঠা-নামা করার জন্যও নেই কোনো সুব্যবস্থা। ছোট সরু সিঁড়ি দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে পন্টুনে উঠতে হয়।
লঞ্চযাত্রী আফিয়া আক্তার, স্কুলছাত্রী সাথী বাংলানিউজকে বলেন, পন্টুনে বসার কোনো স্থান নেই, ঘাটে এসে অনেক দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছি। দুই একটা বেঞ্চ থাকলেও তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।
আরেক লঞ্চযাত্রী ফাতেমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, লঞ্চের জন্য দু’এক ঘণ্টা আগে এসে অপেক্ষা করতে হয়। তার ওপর এখানে কোনো বসার স্থান না থাকায় বসে থাকতে হয় ফ্লোরে। এলাকাবাসী জানায়, প্রায়ই পন্টুনে দুর্ঘটনা ঘটে আহত হন যাত্রীরা। লঞ্চগুলো এসেও পন্টুনে জোরে ধাক্কা দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। বর্তমানে পন্টুনের পুরো ভবনটাই ঝুঁকিপূর্ণ। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় যাত্রীরা বাধ্য হয়ে এ পন্টুনটিতেই লঞ্চের জন্য অবস্থান করেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, ঘাটে এসে টোল দিলেও ন্যুনতম যাত্রীসেবা মিলছে না, উল্টো ভোগান্তি নিয়ে গন্তব্যে ছাড়তে হয়।
ঘাটের ইজারাদার উজ্জ্বল হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, ঘাটের জীর্ণ দশার কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে দিন দিন এ রুটে যাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেকে আবার টোল দিতেও চাননা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এ রুট দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেবে যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে ভোলা বিআইডব্লিউটিএ সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণে পন্টুনটি কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে খুব শিগগিরই পন্টুনটি মেরামতের কাজ করা হবে। তখন আর যাত্রীদের দুর্ভোগ থাকবে না। পরবর্তিতে এখানে দেওয়া হবে নতুন পন্টুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
এসআরএস