ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সেতু আছে, রাস্তা নেই!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
সেতু আছে, রাস্তা নেই! .

টাঙ্গাইল: দেড় বছর আগে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নোয়াই নদীতে সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দু’পাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না মানুষের।

জানা যায়, উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট ২ কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৩ টাকা ব্যয়ে ৭২.৬ মিটার দীর্ঘ এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়ক করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ‘মের্সাস দাস ট্রের্ডাস’।

এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মধ্যক্ষ আরিফুজ্জামান সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, সংযোগ সড়ক থেকে বাইরে গিয়ে সেতু নির্মাণ এবং সরকারিভাবে জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই এলাকাবাসীর জমির উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে জমির মালিকেরা মামলা করে। এজন্য সংযোগ সড়কের বরাদ্দ বাতিল করে কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা সদরে যাতায়াতের সুবিধার জন্য নাগরপুর সদর ইউনিয়নের আলোকদিয়া, পাইশানা, পানান, সেহরাইল, লক্ষীদিয়া, চরপানান, নাগদা, ভালকুটিয়া, তীরছাসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের ভালকুটিয়া থেকে একটি পাকা রাস্তা ও নোয়াই নদীর উপর একটি সেতুর। সে চাওয়া পূরণ হলেও সেতুটি কোনো কাজে আসছে না তাদের। শুষ্ক মৌসুমে সেতুর নিচ দিয়ে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু বর্ষার সময় পানি থাকায় নৌকায় পারাপার হতে হয় দু’পাড়ের মানুষের।

আলোকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শারমিন সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। সেতু থাকতেও নৌকায় পার হতে হয়।

ওই গ্রামের আয়নাল হক বাংলানিউজকে বলেন, সেতুর দু’প্রান্তে মাটি ভরাট করে দিলেই মানুষের দুর্ভোগ শেষ হয়।

ভালকুটিয়া গ্রামের শরিফ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, তিন কোটি টাকার সেতু দাঁড়িয়ে আছে, অথচ মানুষ সে সেতু ব্যবহার করতে পারছে না। অবিলম্বে এটি ব্যবহারের উপযোগী করার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।  

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল সেতুটি। সেই সেতু নির্মিত হলেও এর কোনো সুফল জনগণ পাচ্ছে না।

নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী শাহীনুর আলম বাংলানিউজকে জানান, সেতুর দু’প্রান্তে এবং টাঙ্গাইল-আরিচা সড়কের মোড় থেকে ওই সেতু পর্যন্ত একটি রাস্তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।