পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর এমনটাই তথ্য দিয়েছে চিরঞ্জিত। এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) খাগড়াছড়ির জেলা সদরের খাগড়াপুর এলাকায় চিরঞ্জিতের বাসার পেছনে নির্মাণাধীন সেফটিক ট্যাংক থেকে প্রভাকরের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছে চিরঞ্জিত। প্রভাকর ও চিরঞ্জিত খাগড়াপুরের মৃত সুরেন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে। ৩ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে প্রভাকর সবার ছোট।
ঢাকায় লেখাপড়ার খরচের জন্য প্রভাকর প্রায়ই বড়ভাই চিরঞ্জিতের কাছে টাকা চাইতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদও হতো।
পুলিশ জানায়, টাকা চাওয়া নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়। এক সেই ক্ষোভ থেকেই ক’দিন আগে চাকরির কথা বলে প্রভাকরকে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসতে বলে চিরঞ্জিত।
চিরঞ্জিতের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দিন জানান, বড় ভাই চিরঞ্জিত ত্রিপুরার বাসায় রাতে ঘুমায় প্রভাকর। ঘুমানের পর ওই রাতেই হাতুড়ি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে তাকে খুন করে সে। পরে বাড়ির পাশে সদ্য নির্মিত একটি সেফটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৩ ঘন্টা, জুন ২১, ২০১৯
এডি/এমএ