বৃহস্পতিবার (২০ জুন) তার গায়ে হলুদের কথা। আর শুক্রবার (২১ জুন) বিয়ে।
তাও ঠিক গায়ে হলুদের দিনের সকালে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ড্রেনে একটি ড্রাম থেকে উদ্ধার হলো তার মরদেহ। যেন সিনেমার কাহিনীকেও হার মানালো এ ঘটনা।
জানা যায়, সিনবাদের গায়ে হলুদের আগের রাতে বুধবার (১৯ জুন) রাতে প্রতিবেশী বন্ধু রবিন, নিরব, আরজু, অলিদ, বাবু তাকে বাড়ি ডেকে স্থানীয় মানিকতলার মসজিদের পাশে ডেকে নিয়ে যায়। তবে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি সিনবাদ।
পরিবারের লোকজন রাতভর তাকে খোঁজাখুজি করেও তাকে পায়নি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনবাদের বাবা ফেসবুকের ছবি দেখে জানতে পারেন, এদিন সকালে শহরের খড়কি এলাকার ডোবা থেকে ড্রামভর্তি মৃতদেহটি সিনবাদের। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে এসে মৃতদেহ শনাক্ত করেন তার বাবা আব্দুর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, বুধবার রাতে সিনবাদকে বন্ধুরা মিলে ডেকে রবিনের বাড়িতে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে। পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে বস্তার মধ্যে ভরে। এরপর রবিনের প্রতিবেশী ঢালাইয়ের সহযোগী মিস্ত্রি তালেবের বাড়িতে থাকা প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে তারই নসিমনে (ইঞ্জিন চালিত ভ্যান) করে শহরের খড়কি এলাকায় রাস্তার পাশের ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায়।
যশোর পুরাতন কসবা ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) শিহাবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত রবিনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। মরদেহ গুম করতে ব্যবহৃত ড্রাম ও আলমসাধু জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহত ও ঘটনায় জড়িতরা সবাই ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের বলে জানতে পেরেছি। তবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তবে এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
ইউজি/এমএ