বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়। এতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং নেপালের বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব দিনেশ কুমার ঘিমি নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
সভা শেষে জানানো হয়, স্টিয়ারিং কমিটির সভায় নেপালে পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিপুল সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে ঋতুভেদে বিদ্যুৎ চাহিদার তারতম্যের আলোকে পারস্পরিক পাওয়ার ট্রেডিংয়ের বিষয়টি সভার আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায়।
পাশাপাশি নেপালে পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা ও বাংলাদেশের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের নেপালের বিদ্যুৎ খাতে অংশগ্রহণের বিষয়ে সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আরো জানানো হয়, ভারতের জিএমআরের নেপালে বাস্তবায়নাধীন ৯০০ মেগাওয়াট আপার কার্নালী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বাংলাদেশে আমদানির অগ্রগতির বিষয়েও আলোচনা হয়।
এছাড়া বিউবো, জিএমআর এবং এনভিভিএন এর মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্তকরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, নেপাল সরকার সেদেশে নির্মাণের জন্য সম্ভাব্য ২০টি পানি বিদ্যুৎ প্রকল্প চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে কোন কোন প্রকল্পে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে, তা উভয় দেশ খতিয়ে দেখবে।
সভায় নেপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অর্থায়ন ও যৌথভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রকল্প চিহ্নিত করা, উভয় দেশের মধ্যে পাওয়ার ট্রেডিং পন্থা নির্ধারণ এবং ক্রস বর্ডার ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সম্ভব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম (জেনারেশন) ও জয়েন্ট টেকনিক্যাল টিম (ট্রান্সমিশন) ইতোমধ্যে কাজ শুরুর বিষয়টি জানানো হয়।
তবে সঞ্চালন লাইনের অংশ বিশেষ ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে নির্মিত হবে বিধায় বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে সভায় মত দেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে গতবছরের ডিসেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ ও জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সভা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এসবি/এমএ