বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী এ সমালোচনা করেন।
এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দুঃখ হয় যারা কৃষকদের সার, বীজ, তেল দিতে পারেনি, কৃষক হত্যা করেছে তারা বলে এই সরকার অবৈধ। বিএনপির সদস্যরা এই সংসদে এসেছেন, শপথ নিয়েছেন, বক্তব্য দিচ্ছেন, প্লট, ফ্ল্যাট চাচ্ছেন, নিজের এলাকার উন্নয়ন চান, আবার এই সংসদকে অবৈধ বলেন, সরকার অবৈধ বলেন, বাজে কথা বলেন। আসলে মানুষ বুঝে গেছে আপনারা চোর ছিলেন। যার জন্য দৌড়ে পালিয়ে গেছেন, আপনারা আন্দোলন করতে সাহস পাচ্ছেন না।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ মনে করে সকাল থেকে ঘুমানো পর্যন্ত যা খায় সবই খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আসলে তা নয়। আমরা শুধু রেশনিংয়ের জন্য বিশেষ করে, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ বিভিন্ন সেক্টরে যে রেশন, ভিজিডি, ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয় সেই পরিমাণ খাদ্য কিনতে পারি। এছাড়া আপদকালীন দুর্যোগের জন্য ১০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য কেনার বিধান রয়েছে।
তিনি বলেন, ধানের দাম নিয়ে কৃষক বিড়ম্বনায় পড়েছে। এবার আউশ, আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষিশ্রমিকের দাম বাড়ায় ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। আগে যেখানে ৩শ টাকায় শ্রমিক পাওয়া যেত এখন ৭শ/৮শ টাকা শ্রমিক হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এতে কৃষকদের কষ্ট হয়েছে। আমরা ধান কেনা শুরু করেছি।
‘দেশে মোট চাল উৎপাদন হয় ৩ কোটি ৫৬ লাখ মেট্রিক টন। আর আমাদের ধারণক্ষমতা ২ কোটি ৭৮ লাখ মেট্রিক টন। ধান কেনা অব্যাহত থাকলে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবে। আমরা স্থায়ী সমাধানের জন্য আরও সাইলো নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা করছি। শুধু ধান রাখার জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন পেডি সাইলো নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এসকে/এএ