বুধবার (১৯ জুন) জামালপুর শহরের বেলটিয়া খুপিবাড়ী এলাকায় এনজিও গ্রামীণ মানবকল্যাণ সংস্থার (ইউএসএইড) ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের কক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সোহেল জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার সিঁধুলী ইউনিয়নের চরলোটাবর গ্রামের কৃষক লাল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, সোহেল রানা লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরির জন্য গ্রামীণ মানবকল্যাণ সংস্থার জামালপুরস্থ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ে আবেদন করলে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে তিনি গতকাল বুধবার ওই কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারীর কক্ষে বসে ছিলেন। এ সময় তার প্যান্টের ডান পকেটে আগুন ধরে যায় এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পকেটে থাকা ফোনটি বিস্ফোরণ হয়। এতে সোহেলের ডান পায়ের উরু মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। সেখান থেকে দ্রুত তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, আমি ওই এনজিওতে গত ৯ জুন যোগদান করেছি। আমাদের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন আমার প্যান্টের ডান পকেট বেশ গরম লাগছিল। তাকিয়ে দেখি প্যান্টের পকেটে আগুন ধরে গেছে। দেখামাত্রই আমি পকেটে থাকা ফোনটি বের করার উদ্দেশে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই সেটটি বিস্ফোরণ হয়। তখন আমার সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সংস্থাটির পরিদর্শন কর্মকর্তা তিতাসুজ্জামান বাংলানিউজ জানান, এ ঘটনার পরপরই সোহেলকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
এনজিওটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, মোবাইল বিস্ফোরণে মানুষ মারা যাওয়া বা গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা কেবল সংবাদপত্র, ফেসবুক এবং ইউটিউবেই দেখেছি। কিন্তু আজকে নিজের চোখেই দেখলাম।
জামালপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. জাকিউল বাংলানিউজকে জানান, সোহেল রানার চিকিৎসা চলছে। তার ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের দিকে উরুর বেশ খানিকটা মারাত্মভাবে দগ্ধ হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তাবে সোহেলের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এনটি