ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শূন্য পদ ১টি, পরীক্ষার্থী ১৫ হাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
শূন্য পদ ১টি, পরীক্ষার্থী ১৫ হাজার প্রতীকী ছবি

বরিশাল: বরিশালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ ও ২৮ জুন। এবারের পরীক্ষায় ১০টি উপজেলায় ৬২ হাজার প্রার্থী অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। গোটা জেলায় শূন্য পদ রয়েছে মাত্র দুইশ’। এর মধ্যে, বরিশাল সদর উপজেলায় শূন্য পদ রয়েছে মাত্র একটি। এ পদটির জন্য লড়বেন প্রায় ১৫ হাজার পরীক্ষার্থী। 

বরিশাল সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, জেলায় মোট ১ হাজার ৫৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে, সদর উপজেলায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০৩টি, সেখানে সহকারী শিক্ষকের পদ মোট ১ হাজার ১৯৩টি।

তিনি বলেন, এ উপজেলায় শিক্ষকের পদ খালি নেই বললেই চলে। শুধু নগরের মাত্রিমন্দির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পদ শূন্য রয়েছে। অথচ, ওই একটি পদের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। এদের মধ্যে নিয়োগ পাবেন একজনই, বাকিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।

রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, নিয়োগের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। জেলা অফিস থেকে নিয়োগ দিয়ে আমাদের কাছে পাঠানো হয়, আমরা শুধু যোগদান নিই। নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি উপজেলা পর্যায়ে হয়ে থাকে, তবে যে উপজেলায় যে কয়টি পদ শূন্য, সে কয়জনকেই নিয়োগ দেওয়া হবে। আর, যদি জেলার মধ্যে হয়, তবে এক উপজেলা থেকে একাধিক ব্যক্তির নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ থাকবে।

এদিকে, বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বরিশাল সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মো. আবু জাফরের মতে, বাইরের জেলা থেকে শিক্ষক এনে শূন্য কোটা পূরণ করে রাখা হয়েছে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতে শিক্ষকের যোগদান বা বদলি না করা হয়, সেটা নিয়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ আন্দোলন করেছিল। কিন্তু, আমাদের সে দাবি মানা হয়নি। বরং, ১০ ভাগের জায়গায় ২০ ভাগ শিক্ষক বাইরের জেলা থেকে এনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে, নিজ নিজ জেলার নাগরিকরা নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার্থী আল আমিন জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, বরিশাল সদর উপজেলা থেকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আমরা চার জন আবেদন করেছি। কিন্তু, এখন যা দেখছি আর শুনছি, তাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়াটাই ঠিক হবে না। যতটা শুনেছি, সদরে শিক্ষকের একটি মাত্র পদ শূন্য। ওই একটি পদের জন্যই হাজার হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে।  

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এ আর মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বরিশালের ১০টি উপজেলায় শিক্ষকের পদ তেমন একটা খালি নেই। সব মিলিয়ে দুইশ’র মতো পদ শূন্য আছে। কিন্তু, এর বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬২ হাজার পরীক্ষার্থী। আগামী ২১ ও ২৮ জুন দুই ধাপে ৩২টি কেন্দ্রে তাদের নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় শূন্য পদ সব চেয়ে কম। বাকি পাঁচটি উপজেলা মিলিয়ে প্রায় দুইশ’র মতো পদ শূন্য। নিয়োগ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন, মেধা অনুযায়ী শূন্য পদে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এক উপজেলায় নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়া ব্যক্তিরা অন্য উপজেলায় যোগ দিতে পারবেন না। মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, নিজ নিজ উপজেলার নাগরিকদের সুযোগ করে দিতে উপজেলা পর্যায়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এমএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ