বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) আয়োজিত ‘ইতিহাস বিকৃতি ও আমাদের দায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করা এবং এ নিয়ে বিতর্কের চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছুই নেই।
তিনি আরও বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বে তো আর ১৪ বা ১৫ জন নেতা থাকে না। প্রধান নেতা একজনই থাকে। যার নেতৃত্বে চূড়ান্ত সংগ্রাম হয়েছে তিনিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তার সঙ্গে আরও অনেকেই থাকবে- এটাইতো নিয়ম।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কার নেতৃত্বে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে কার অবদান সবচেয়ে বেশি- তা সবাই জানে। অন্য কারো অবদান বেশি থাকলে দু’চার জনের নাম বলেন। স্বাধীনতার শীর্ষ নেতাকে ছোট করার চেষ্টা অত্যন্ত হিংস্র ও জঘন্য মনোবৃত্তিরই বহিঃপ্রকাশ।
বিশিষ্ট এই কলামিস্ট আরও বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে শিক্ষিত সমাজের একাংশও জড়িত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই যে দেশ স্বাধীন হয়েছে তা বাংলাদেশের কোটি কোটি জনগণ জানে। এতে যতই কালিমা লেপন করার চেষ্টা করা হোক না কেন, তাতে কোনো লাভ হবে না।
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য তুলি হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন- আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন এবং লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট স্বদেশ রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
আরকেআর/এসএ