বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামে ওই কিশোরীর বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত তামান্না একেই গ্রামের নোয়াব মিয়ার মেয়ে।
তামান্নার বড়বোন স্মৃতি আক্তার জানান, বুধবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার স্বামী নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ায়। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বললে সে জুস না খাওয়ায় স্মৃতি সেই জুস খেয়ে ফেলেন। জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে তামান্নাকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর তামান্নার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত।
খবর পেয়ে গ্রামের এক সর্দার বাড়িতে আসলে নাঈম পালিয়ে যান। নাঈম ধর্ষণের পর তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করেন স্মৃতি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
জিপি