বুধবার (১৯ জুন) বিকেল ৫টার দিকে নওগাঁ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (২) বিচারক সিরাজুল ইসলাম সাগরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মান্দা থানার পরিদর্শক (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, আদালতে জবানবন্দিতে আসামি যেসব তথ্য দিয়েছে তা মামলা তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হচ্ছে।
জবানবন্দি শেষে সামিউল ওরফে সাগরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে মান্দা থানা হাজত থেকে ধর্ষক সামিউলকে কড়া পাহারায় আদালতে নেয়া হয় দুপুর ১টার দিকে।
ওসি আরো জানান, মঙ্গলবার সামিউলকে আটক করে পুলিশ। রাতে তাকে প্রধান আসামি করে মান্দা থানায় প্যানেল কোড ৩০২ (হত্যা) ও নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (৯)১ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত গৃহবধূ নাছিমা আক্তার সাথীর স্বামী এমদাদুল হক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সামিউলকে গ্রেফতারের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বখাটে সাগর নিজে গৃহবধূ সাথীকে হত্যা ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করেছে। গৃহবধূর মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়।
এছাড়া ওই তরুণী নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। বিচারক বিকাশ চন্দ্র বর্ণনাগুলো রেকর্ড করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে হত্যা ও ধর্ষণকারী সামিউল ওরফে সাগরের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি করেছেন ভিকটিমের স্বজনরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতে মান্দার দ্বড়িয়াপুর গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হকের বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ নাছিমা আক্তার সাথীকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সামিউল ওরফে সাগর। এরপর সাথীর ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে তাকে আটক করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
আরএ