বুধবার (১৯ জুন) সকালে ওই উপজেলার বাগুটিয়া গ্রাম থেকে রাজু আহম্মেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক রাজু আহম্মেদ সদর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে।
বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, কালীগঞ্জের বলরামপুর গ্রামের হাকিম আলীর মেয়ের জুলিয়া ও কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বকতিয়ার আলীর ছেলে সোহেল রানা চাপালী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন। এসময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেয়ে ৪ মাস আগে সদর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে রাজু আহম্মেদের সঙ্গে জুলিয়ার বিয়ে দেন।
বিয়ের পরও জুলিয়ার সঙ্গে সোহেলের সম্পর্ক ছিল। মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করতেন তারা। এছাড়াও তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কও চলতে থাকে। বিষয়টি রাজু আহম্মেদ জানতে পেয়ে সোমবার জুলিয়ার মাধ্যমে মোবাইলে কল দিয়ে মুয়াজ্জিন সোহেলকে ডেকে আনেন। প্রেমিকার ফোন পেয়ে জুলিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসেন সোহেল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজু ও তার ২ জন সহযোগী সোহেল রানাকে ধরে নিয়ে পাট ক্ষেতে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে পাটক্ষেতে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিংকু হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস ও সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান অভিযান চালিয়ে প্রেমিকা জুলিয়া খাতুনকে আটক করে। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার সকালে রাজু আহম্মেদকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও নিহতের মোবাইল ফোন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
আরএ