বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ ও ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এছাড়া তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা নোমান রবিন, প্রসূন রহমান ও মৃত্তিকা কামাল তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন ইউএনএইচসিআর’র অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সটার্নাল অফিসার সৌভিক দাস।
স্টিভেন করলিস বলেন, সিরিয়ার একটি চার বছরের শরণার্থীর ছবি সবাইকে নাড়া দেয়। চলচ্চিত্র মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে শক্তিশালী মাধ্যম এবং গণমানুষের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম। আমরা মনে করি, এ শিল্প শরণার্থীদের রক্ষার পাশাপাশি অভিবাসী বা শরণার্থীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনে সহায়তা করে। যার কারণে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সঙ্গে যৌথ আয়োজনে এখানে অংশ নিয়েছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মিয়ানমারে বর্তমানে যারা রোহিঙ্গা আছে, তাদের অবস্থা ২০১৭ সালের মতোই। তাদের নাগরিক অধিকার নেই, কাজের অধিকার নেই। নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ডের বাইরে তারা যেতে পারে না। বাংলাদেশ থেকে জোরপূর্বক রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো সহজ। কিন্তু তাদের অবস্থার উন্নতি হবে না। সেখানে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকারসহ ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘ কাজ করছে। আমরা আশাবাদী।
কানবার হোসেন-বোর বলেন, শরণার্থী অভিবাসীদের বোঝা হিসেবে নেওয়া যাবে না। ইংল্যান্ডেও প্রচুর অভিবাসী রয়েছে। লন্ডনের মেয়র সাদিক খান একজন অভিবাসী। অসংখ্য অভিবাসী ইংল্যান্ডের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। শরণার্থীদের মানবিক নজরে দেখতে হবে।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নির্মিত বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/