বুধবার (১৯ জুন) সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আ. আউয়াল, আল-আমিন ও সুফল।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আব্দুল করিম, সাফিয়া খাতুন, আব্দুল কাদির ফকির, সোহেল, রিপা আক্তার, মোছা. জহুরা খাতুন ওরফে অনুফা ও আব্দুর রউফ ফকির ওরফে রুপ মিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর দুপুরে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার টানসিদলা গ্রামে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চয়নদের বাড়িতে হামলা করে। এসময় তারা চয়নের মা ও বোনকে পিটিয়ে আহত করে। তাদের বাঁচাতে চয়ন এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত চয়নের বাবা জহিরুল ইসলাম রতন বাদী হয়ে ওইদিন ৯ জনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার সকালে আদালত এ রায় দেন।
মামলা চলাকালীন সময়ে আমিনুল হক ওরফে হিরা নামে এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর রায়। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার ও অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র দে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯ আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা
এনটি