বুধবার (১৯ জুন) ভোর রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফাংয়ের মৃত্যু হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে সাবিন্দ্র দাস (৩২) নামে বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক বাংলাদেশি শ্রমিক মারা যান।
জানা গেছে, সাবিন্দ্র গত ১৪ মে থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্ল্যান্টে কাজ করছিলেন। তার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায়, বাবার নাম নগেন্দ্র দাস।
আর চীনা নাগরিক ঝাং ইয়াং ফাং তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি চীনের ল্যাং লেওয়ানিংয়ের বাসিন্দা চাং এর ছেলে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কলাপাড়া থেকে মঙ্গলবার দিনগত রাতে সেখানে কর্মরত ছয় চীনা নাগরিক ও দুই বাংলাদেশি শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
‘এর মধ্যে মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ঝাং ইয়াং ফাংয়ের মৃত্য হয়েছে। বাকি পাঁচ চীনা নাগরিককে বুধবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার নিশানবাড়িয়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শ্রমিক সাবিন্দ্র কাজ করার সময় প্ল্যান্টের উপর থেকে পড়ে মারা যান।
এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় আহত ছয় চীনা নাগরিক ও দুই বাংলাদেশি নাগরিককে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝাং ইয়াং ফাং নামে এক চীনা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রজেক্ট ম্যানেজার লিউ সি ইলেক্ট্রিশিয়ান ঝাং ইয়াং ফাংয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিতে চেয়ে আবেদন করেছেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্তমানে কলাপাড়ার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯/আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা
এমএস/এসএ/এমএ