মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে ডোমার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছায়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পিংকি ওই গ্রামের সাজেদুল ইসলামের স্ত্রী এবং একই উপজেলার বসতপাড়া গ্রামের আউয়াল হোসেনের মেয়ে।
নিহতের শ্বশুরবাড়ি সূত্রে জানা যায়, আট মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। সকালে পিংকি ঘুম থেকে উঠে স্বাভাবিকভাবেই সংসারের কাজকর্ম ও সবার নাস্তা তৈরি করে। তার স্বামী কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর পিংকি অন্যান্য দিনের মতো কাজ শেষে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে আবারও ঘুমাতে যায়। দুপুর ১টা বেজে গেলেও অনেক ডাকাডাকির পর তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারে লোকজন জানালার কপাট সরিয়ে দেখতে পান গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পিংকির দেহ ঝুলছে।
এসময় পরিবারের লোকজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে ডোমার থানা পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে। সেসময় পুলিশ একটি চিরকুটও উদ্ধার করে।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চিরকুটের লেখা অনুযায়ী মনে হচ্ছে স্বামীর সঙ্গে অভিমানে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
জিপি