মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে, সোমবার (১৭ জুন) রাতে আশুলিয়ার বলিভদ্রসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-১।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে মলম, ব্লেড, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও ছুরি জব্দ করা হয়েছে। এরা মলমপার্টি ও সরাসরি ছিনতাই কাজেও জড়িত বলে জানা গেছে।
আটকরা হলেন- গাজীপুর কালিয়াকৈরের শ্রীফলতলী এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে রোমান হোসেন (২৭), একই থানার হাটুরিয়া গ্রামের তৌফিকুল ইসলাম রানা (৩৬), শেওড়াতলী গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে রাসেল হোসেন (২৭), পাবনা আটঘরিয়া গোপালপুর এলাকার সামসুর রহমানের ছেলে রাসেল হোসেন হিরা (৩৪), মাগুড়া সদর থানার বায়নাটিবিসি পাড়ার রবিউল ইসলাম রবি (৫৫), সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর নোকালী গ্রামের মো. আলীর ছেলে তোয়াজ আলী (৩০), টাঙ্গাইল ধনবাড়ি থানার চাকুরিয়া এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), নওগা আত্রাই হিঙরকান্দি সফিক প্রামাণিকের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৫), কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী ছোটখাটাবাড়ির মজনু মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৫), টাঙ্গাইল নাগরপুর থানার পাহাড়পুর মশিউর রহমান (৪৫), একই থানার কেদারপুর গ্রামের জাকির হোসেন (৪০)।
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আটক আসামিরা বাসে উঠে বমি করার নামে কৌশলে সাধারণ যাত্রীদের টাকা ও মালামাল নিয়ে সর্বশান্ত করে ফেলে। আসামিদের নামে সাভার ও আশুলিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা অধিকাংশই বিভিন্ন পরিবহনের হেলপারের কাজের আড়ালে এইসব অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো। এরা মূলত নবীনগর-চন্দ্রা ও বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়কে চক্রটি এ ধরনের অপরাধ করে থাকে। তার বিরুদ্ধে র্যাব-১ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এসএইচ