ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চার পরিবর্তনে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইনের খসড়া অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
চার পরিবর্তনে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইনের খসড়া অনুমোদন ব্রিফ করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম

ঢাকা: গোপনীয়তা, শিরোনামে পরিবর্তন ও কার্যাবলীসহ মোট চারটি পরিবর্তন এনে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন ২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। 

সোমবার (১৭ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বৈঠকের বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানান।  

শফিউল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে ১৯৭৩ সালের ২৮ জুলাই প্রথম ট্যারিফ কমিশন চালু হয়। এরপর আবার আধুনিকভাবে ১৯৯২ সালে নতুন করে প্রণয়ন করা হয়। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৯ সালের অনেক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়ে গেছে। এজন্য মোটা দাগে চারটি পরিবর্তন আনা হয়েছে।  

তিনি বলেন, প্রথমত আমরা ট্যারিফ কমিশনের শিরোনাম পরিবর্তন করে নতুন করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন করা হয়েছে। আগে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন ছিল। একই সঙ্গে ১৯৯২ সালের ৭ ধারা পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।  

দ্বিতীয়ত, কমিশনের কার্যাবলীতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন, শুল্কনীতি পর্যালোচনা, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ট্রান্স শিপমেন্ট, জিএসপি, শিল্প-বাণিজ্য নীতি, বিনিয়োগ নীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিসহ অনেক বিষয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।  

তিনি বলেন, পুরনো আইনের ৮ ধারা (২) এ ছোট পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপধারা এ (২) এর অধীন প্রাপ্ত তথ্যের গোপনীয়তা বিষয়ে পরিবর্তন। বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। কমিশন যদি আগেই কিছু লিগ করে দেয় তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে গোপনীয়তা বিষয়ে।

এছাড়া ১২ ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখানে গবেষণা ও সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা কাজে সহায়তার লক্ষ্যে কমিশন সরকারের কাছ থেকে পূর্বানুমতি ক্রমে নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক ও গবেষক নিয়োগ করতে পারবে।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সভার শুরুতে তিন বছরের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ ১৮১ ভোট পেয়ে ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক)’ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানানো হয়। ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট মর্যাদাপূর্ণ এ পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৯১ ভোটের মধ্যে ১৮১ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়।  

ইকোসকে আগামী ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তিনবছর মেয়াদে (২০২০-২০২২) বাংলাদেশ দায়িত্ব পালন করবে। বাংলাদেশ ছাড়া এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে এ নির্বাচনে থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন বিজয়ী হয়েছে। এই বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্ল্যাটফর্মে এবং বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম ইকোসকে তার দৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করলো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯ 
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad