![]() বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদ |
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে কাতারে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়ার ঘটনা তদন্তে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কাছে গত শনিবার (১৫ জুন) প্রতিবেদন জমা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সোমবার (১৭ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে আমরা ৫/৭টি সুপারিশ পেয়েছি। সুপারিশগুলো অনেকগুলো জেনেরিক টাইপের। যাত্রী বা ক্রুকে ইমিগ্রেশন করতে হলে অবশ্যই ইমগ্রেশনের নিয়ম মেনে করতে হবে।
‘পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট রেখে গেছে’ বলে শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওটা হয়তো ফাইন্ডিংসে আছে, না দেখে বলা ঠিক হবে না।
এর আগে সকালে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তিনি (পাইলট ফজল মাহমুদ) পাসপোর্ট রেডি করে ভুলে অফিসে রেখে গেছেন।
পাইলট ফজল মাহমুদ চৌধুরী গত ৫ জুন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নম্বর বিজি-১২৫ যোগে ঢাকা থেকে দোহা ভ্রমণকালে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় কাতার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন।
অনাকাঙ্খিত এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ক্যাপ্টেনের পাসপোর্ট বিমানে ভ্রমণ ও ঢাকাস্থ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটিতে সদস্য ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী। আর সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এএটি