ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, গ্রেফতার মা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
চুয়াডাঙ্গায় সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, গ্রেফতার মা

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় স্নেহা নামে দুই বছরের একটি শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মা। 

সোমবার (১৭ জুন) সকালে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার সনাতনপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ ঘাতক মা শামীম আরা সাইমাকে গ্রেফতার করেছে।

উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো বটি।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার সনাতনপুর গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার মামুন অর রশিদের পরিবারের সদস্যরা সকালে সবাই ঘুমিয়েছিলেন। এ সময় সবার অজান্তে তার স্ত্রী সাইমা শিশু কন্যা স্নেহাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বাড়ির দুই তলার ছাদে নিয়ে যান। সেখানে রান্না ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করেন।  

নিহত স্নেহার বাবা মামুন অর রশিদ জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নেহাকে না পেয়ে খুঁজাখুজি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির দুই তলার ছাদের রান্না ঘরে তার গলা কাটা মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে  আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। শিশু সন্তান হত্যার দায়ে গ্রেফতার করা হয় মা সাইমাকে।  

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো বটি। প্রাথমিকভাবে শামীম আরা সাইমা মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকারও করেছেন।

স্নেহার চাচা মিস্টার জানান, বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তার ভায়ের স্ত্রী শামীমা। এর আগেও তিনি স্নেহাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালান। তবে সে যাত্রায় মেয়েটি প্রাণে বেঁচে যায়।  

আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান জানান, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না-তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।