রোববার (১৬ জুন) রাতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দিলারা খাতুন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নওডাঙা গ্রামের সবুজ আহমেদ মিঠুনের স্ত্রী।
সবুজ আহমেদের অভিযোগ, তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে শনিবার (১৫ জুন) দুপুরের আগেই। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে রোববার (১৬ জুন) সন্ধ্যায়।
তিনি জানান, সন্তান প্রসবের জন্য গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অপারেশন থিয়েটারে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে তিন দিনে তার শরীরে ১৬ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, দিলারা খাতুন জন্ডিসে আক্রান্ত এবং তার কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। তিন দিনে চিকিৎসায় তারা প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করেন। কিন্তু শনিবার থেকে তাদের রোগীকে দেখতে দেওয়া হয়নি। রোববার সন্ধ্যায় দিলারার মৃত্যুর কথা জানায় চিকিৎসকরা।
স্বজনদের অভিযোগ, দিলারার মরদেহ থেকে পানি বের হচ্ছে। এ থেকে তারা ধারণা করছেন শনিবারই দিলারার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা গোপন রেখেছে।
এদিকে, খবরটি ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় হাসপাতালে দিলারার সহকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা আইসিইউ’র দরজায় ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরে রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় হাসপাতাল পরিচালক ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা কাজে ফিরে যান।
তবে জামিলুর রহমান এখনই এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
এসএস/পিএম/এমএইচএম