ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মন্ত্রী ব্যবসায়ী হলে বাজেট দিতে পারবেন না, এটা ঠিক না

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৯
মন্ত্রী ব্যবসায়ী হলে বাজেট দিতে পারবেন না, এটা ঠিক না জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষ ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মন্ত্রী ব্যবসায়ী হলে বাজেট দেওয়া যাবে না এটা ঠিক না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। 

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক রোববার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন।  

এর আগে সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম অর্থমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীকে ব্যবসায়ী বলে সামলোচনা করেন।

 

এ সমালোচনার উত্তরে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, বন্ত্র ও পাটমন্ত্রীকে বলা হলো ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী হওয়া কি অপরাধ। আমাদের নবীও তো ব্যবসা করতেন। একজন ব্যবসায়ী তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। দেখতে হবে যোগ্য কিনা। আমাদের অর্থমন্ত্রী অনেক যোগ্য। ব্যবসায়ী হলে বাজেট দেওযার যোগ্যতা থাকবে না, তাকে গালি দিতে হবে এটা ঠিক না।

‘দেখতে হবে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছি কিনা, সেটাই দেখা বিষয়। বিএনপির আমলে সবশেষ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেটা থেকে ৪ লাখ কোটি টাকা বাড়িয়েছি। ’

ড. রাজ্জাক আরও বলেন, এই সংসদে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা হয়। এটা সারা বিশ্ব জানে স্বাধীনতার ঘোষক কে। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সারা বিশ্বে পরদিন প্রচার হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। সেদিন জিয়া কোথায় ছিলেন। জিয়া ২৭ মার্চ প্রথমে নিজের নামে পরে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।  

তিনি বিএনপির সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের সমালোচনা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচালের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এরপর তারা ব্যর্থ হয়ে আবার ২০১৫ সালে খালেদা জিয়া সরকার হটাতে ৯০ দিন ধরে অবরোধের নামে পেট্রোল বোমা মেরে ১৫০ জন মানুষকে হত্যা করলো। এটা কি বিচারহীনতা নাকি অত্যাচার নির্যাতন।

‘বিএনপির সন্ত্রাসের হাজার হাজার ঘটনা রয়েছে। বিএনপির নেত্রী দুর্নীতি করেছে, বিচার বিভাগ বিচার করে তাকে জেলে দিয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার চেয়েছেন, আমরা স্বাধীনতা দিয়েছি। খালেদা জিয়া বলেছিলেন নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লাসহ যাদের বিচার করা হচ্ছে এরা যুদ্ধাপরাধী না। এরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার স্বীকার। মওদুদ আহমদ বলেছিলেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শেখ হাসিনাসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবেন।        

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯ 
এসকে/এসই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।