শরীফুল ইসলামের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ডাকরা গ্রামে। তার বাবার নাম শামসুল ইসলাম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় চয়েন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাশাপাশি দু’টি আম বাগান ইজারা নিই। চার বছরের জন্য বাগান দু’টি ইজারা নিয়েছিলাম। কিন্তু, চয়েনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে, গত ২ মে আমার আত্মীয় আবদুল কাদের, মো. সেন্টু, সুমন ইসলাম কালু, বুলবুল আহমেদ, শরীফ উদ্দিন, আবদুস সোবহান ও নুরুল ইসলাম বাদশা দু’টি বাগানের ২০টি গাছ থেকে প্রায় ১৪০ মণ আম পেড়ে নিয়ে যান।
আম পেড়ে নেওয়ায় প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান শরীফুল। এ নিয়ে তিনি মামলা করতে চারঘাট থানায় যান। কিন্তু ১০ দিন ঘুরেও সেখানে মামলা করতে পারেননি বলে অভিযোগ তার।
শরীফুল বলেন, গত ২ মে ঘটনার পর ১২ মে পর্যন্ত প্রতিদিন থানায় গিয়েছি মামলা করতে। প্রতিদিনই ওসি বলেছেন, পরের দিন যেতে। আর, প্রতিদিনই আমাকে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। এভাবে হয়রানির পর, গত ১৩ মে রাজশাহীর আদালতে গিয়ে ওই সাত জনের নামে মামলা করেছি।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, মামলা না নেওয়ার বিষয়ে রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শরীফুল বাগান ইজারা নেননি। বাগান মালিক চয়েন তাকে দিয়ে মামলা করাতে চাইছিলেন। এ জন্য মামলা নেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
এসএস/একে