রোববার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
হারুনুর রশিদ বলেন, ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত, সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে খালেদা জিয়া জেলে আছেন।
এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিঃসন্দেহে এটি একটি ট্রাজেডি। অতি নিন্দনীয়। কোনো বোধসম্পন্ন মানুষ এই হত্যাকাণ্ড সমর্থন করতে পারে না। ইনডেমনিটি দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল মোস্তাকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি অংশ। বিএনপি ইনডেমিনিটি দেয়নি।
হারুনুর রশিদ বলেন, আজ ধান কাটার কামলা পাচ্ছি না। আর এতে নাকি আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। কৃষকরা উৎপাদিত ধানের দাম পাচ্ছে না। কৃষকরা যাতে দাম পায় সেই উদ্যোগ কেন নেওয়া হচ্ছে না। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে গত কয়েক বছর কত লাখ টন ধান চাল আমরা আমদানি করেছি। তাহলে কেন আমদানি করা হলো। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলবো আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হইনি। যদিও কৃষিক্ষেত্রে অনেক সফলতা আছে।
‘সরকারের প্রণোদনা ও কৃষকের আন্তরিকতার কারণে গত নির্বাচনে চার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচন করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো গ্রহণযোগ্যতা দেখাতে পারেনি। নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। এই ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনকে সরে যেতে হবে। আমরা ছয়জন সংসদে প্রবেশ করায় জাতীয় সংসদ বৈধতা পাবে না। সংবিধানে যে গণতান্ত্রিক স্পেস আছে, সেটা আজ অনুপুস্থিত। আমি সংসদ নেতাকে অনুরোধ করবো, যারা যত বেশি আপনাকে তোষামোদ করছে, তাদের প্রতি সর্তক থাকবেন। ’
হারুনুর রশিদের এসব বক্তব্যের সময় সংসদে সরকারি দলের কেউ কেউ আপত্তি জানালে হারুনুর রশিদ তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাকে বলতে দিন। তা না হলে মেসেজ যাচ্ছে, আপনারা আমাদের সংসদে কথা বলতে দিতে চান না। আজ উচ্চ আদালত, নিম্ন আদালত কোনোটা স্বাধীন না। দুর্নীতি দমন কমিশনে আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে পাঠানো হচ্ছে, আর সেখান থেকে রেহাই দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। আর বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। এই বিষয়গুলো দেখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
এসকে/এসই/এএ