তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচিত হয়। তো বিএনপির সংসদ সদস্যরা কিভাবে অবৈধ সংসদের সদস্য হয়ে একজন নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত করলেন।
রোববার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সদস্যকে সংসদে আনার ক্ষেত্রে যদি কোনো ব্যতিক্রম ঘটে থাকে তাহলে তার দলীয় সদস্যরা করেছেন। এজন্য তো সংসদ অবৈধ হতে পারে না। ওই নারী সদস্য ওনার বৈধতা, অবৈধতা বিএনপির সংসদ সদস্যদের কাছে খুঁজবেন। সংসদের কাছে কেন খোঁজেন। সংসদ বৈধ বলেই পুরুষ সদস্যরা নির্বাচিত হয়ে নারী সদস্যকে নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কারা সংসদে ইনডেমনিটি পাস করেছিল, কারা বাতিল করেছে তা সংসদেই আছে। এটা নিয়ে মিথ্যাচার করার কিছু নেই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিএনপিই বেনিফিশিয়ারি হয়েছে। আজ আপনারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা বলেছেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে বিরোধীদলীয় নেতাসহ বহু নেতাকে একসঙ্গে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি। একযোগে বোমা হামলা হয়েছিল সারাদেশে। সিলেটে শাহজালালের মাজারে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। মাজারকে অপবিত্র করা হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য শাহ এএমএস কিবরিয়ার উপর বোমা হামলা করা হয়েছিল। গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছি। এগুলো কি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নয়। আমরা সব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে। নিজেদের চেহারাটা আয়নায় একবার দেখবেন।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, আপনারা তো অনেক ভালো আছেন। বিএসএমএমইউ-তে আসেন, চিকিৎসা নেন। কারাগারে সঙ্গে একজন কাজের মানুষ রাখার সুযোগ পেয়েছেন, এটা দেশের ইতিহাসে নজির সৃষ্টি করেছে, আর কি চান?
** বাজেট বাস্তবায়ন হার কেন কমছে, জানতে চান ফখরুল ইমাম
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
এসকে/এসই/জেডএস