রোববার (১৬ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিকে সিমেন্টের আস্তর ও রঙ দিয়ে ঘষামাজা করে নতুন করতে কাজ করা হচ্ছে। এ কাজের জন্য সড়কের একটি অংশও বন্ধ করা হয়েছে।
ভবনটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে বিভিন্ন দোকান, গার্মেন্টেস ও ঝুটের গোডাউন। ভবনের প্রথম তলায় রয়েছে মোবাইল মার্কেট, কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন কারখানার দোকান। দ্বিতীয় তলায় রয়েছে বিভিন্ন দোকানপাট। এছাড়া প্রতিটি ফ্লোরেই রয়েছে গার্মেন্টস ও কারখানা। পঞ্চমতলার পর থেকে রয়েছে আবাসিক ফ্ল্যাট বাসা।
এ ভবনে ফায়ার এক্সিট নেই, নেই অগ্নিনির্বাপনের কোনো ব্যবস্থাও। ফায়ার সার্ভিস থেকে ভবনটি অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দেখা যায়, সড়কের পাশে বাঁশের খুঁটি বেঁধে সেখানে চলছে ভবনটির ঘষামাজার কাজ। এতে ভেঙে যাওয়া সিঁড়ি ও দেয়ালে সিমেন্টের আস্তর ও রঙ দিয়ে চলছে ভবনটিকে চকচকে করার কাজ।
জানা যায়, ভবনটির রাজউকের অনুমতি রয়েছে ছয়তলা পর্যন্ত। পরবর্তীতে আটতলা পর্যন্ত অলিখিত মৌখিক অনুমতি দিয়ে বর্ধিত করার কথা বলে ভবন মালিক আটতলা পর্যন্ত ভবনটি বর্ধিত করেন।
এদিকে, ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এটির বর্ধিতাংশ ভেঙে ফেলতে চিঠিও দিয়েছিল। যদিও মালিক পক্ষের দাবি, ভবনটির নয়তলা পর্যন্ত রাজউকের অনুমতি রয়েছে।
ভবনের দোকান মালিকদের সূত্রে জানা যায়, ভবনটিতে প্রতিদিন সকাল থেকে হাজারো মানুষ কেনাকাটা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে আসেন। এছাড়া এ ভবনে মানুষ বসবাসও করেন। এতো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে এভাবে ঘষামাজা করায় যেকোনো সময় এটি ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, হতে পারে প্রাণহানিও।
ভবনটির মালিক আওয়াল বলেন, এখানে সমস্যা আছে কিছুটা। সিঁড়িটা একটু ছোট, আমরা বড় করে দেবো। ভবনটির মালিক ১০ জন। এছাড়াও আরো মালিক আছেন ফ্লোরে। আমরা একসঙ্গে বসে আলোচনা করে এখানে যতো সমস্যা আছে, সমাধান করে দেবো।
তিনি আরও বলেন, ভবনটির রাজউকের অনুমতি আছে নয়তলার। আমরা একতলা কম করেছি। পাশের রিভারভিউ মার্কেটের নয়তলা থাকলেও তারা ১১তলা করেছে, আমরা সেটি করিনি। দেয়ালে আস্তরসহ সিঁড়ি বড় করার কাজ করছি। এছাড়া ফায়ার এক্সিটসহ যতোগুলো ব্যবস্থা এখানে নেই, সেগুলোও আমরা সংযোজন করবো।
তবে ভবনটি একেবারেই ঝুঁকিমুক্ত বলে দৃঢ়ভাবে জানিয়ে আওয়াল বলেন, এখানে ঝুঁকি নেই, আমরা এখানে ১৩তলার ফাউন্ডেশন দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করেছি।
এদিকে, ভবনটিকে এবং এখানে কাজে আসা ও বসবাসরত বাসিন্দাদের আশু দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
আরবি/